যে গুণের জন্য আবারও নোবেল পেতে পারেন ড. ইউনূস
যে গুণের জন্য আবারও নোবেল পেতে পারেন ড. ইউনূস
মাইক্রোক্রেডিট ধারণার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে দারিদ্র বিমোচনে বিপ্লব ঘটানো নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে নতুন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি মনে করেন, ড. ইউনুস যদি দ্বিতীয়বার নোবেল পুরস্কার পান তবে সেটা তার সরলতার জন্যই পাবেন।
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ড. ইউনুস। তার “থ্রি জিরো থিওরি”কেও নতুন সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন অনেক বিশ্লেষক। তবে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলছেন, ইউনুসের ভালোবাসা, সরলতা এবং নিরপেক্ষতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে তার নোবেল পাওয়ার আসল যোগ্যতা।
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট জুলাই অভ্যুত্থানের পর ড. ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকেই সরকার পরিচালনার নানা দিক নিয়ে মন্তব্য করে আসছেন রাশেদ খান। সম্প্রতি ছয়জন রাজনৈতিক প্রতিনিধি ও উপদেষ্টাদের নিয়ে ড. ইউনুসের জাতিসংঘ অধিবেশন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
২৬ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে রাশেদ খান লেখেন, “ড. ইউনুস স্যার দুইজন রাজনৈতিক প্রতিনিধিকে মঞ্চে তুলে বললেন ‘These are the guys fighting on the street’। তাহলে বাকি চারজন কি রাস্তায় ফাইট করছে না? ড. ইউনুস স্যার নিরপেক্ষতার অভিনয় বোঝেন না, যাকে ভালোবাসেন তার প্রতিই সেই ভালোবাসা প্রকাশ করেন। এজন্যই তাকে আমার ভালো লাগে।”
তিনি আরও লিখেন, অন্যান্য উপদেষ্টারা মাঝে মাঝে ড. ইউনুসকে মনে করিয়ে দেন “স্যার, বাকিদের প্রতিও ভালোবাসা দেখাতে হবে। নইলে অন্তর্বর্তী সরকারকে মানুষ পক্ষপাতদুষ্ট ভাববে। তখন সহযোগিতা কমে যাবে।”
রাশেদ খানের ভাষ্যমতে, তখন ইউনুস স্যার সরলভাবে জবাব দেন “ও তাই নাকি? ঠিক আছে, তাদেরকেও ডাকো।”
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্যারের এই সরলতা বিশ্বে বিরল। যদি তিনি দ্বিতীয়বার নোবেল পান তবে সেটা তার সরলতার কারণেই হবে। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি, যেন তিনি এই সরলতা ধরে রাখতে পারেন। যাকে ভালোবাসেন, সেটা অন্যদের মতো লুকিয়ে না রেখে প্রকাশ করেন। অন্তত তাকে কেউ কুটিল বুদ্ধির মানুষ বলতে পারবে না।”
Comments
Post a Comment